আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ৭ই মার্চের ১০৮৫ শব্দ ও ১৯ মিনিটের বক্তব্যটি আপনাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে। জিয়া চক্র ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারা ৭ই মার্চের ভাষণকে ভয় পায়। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত। এই ভাষণ দিয়ে মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।  

আজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মুশতাকদের সহায়তা করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বাহাত্তরের সংবিধানকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বেয়নেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিল ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানকে নষ্ট করেছিল। শেখ হাসিনা বিদেশ থাকার কারণে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। মুজিববিহীন বাংলায় ২০০৮ সালে যখন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন ৭২ দিনের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে দেশকে একটি অনিবার্য গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে সেদিন দেশ রক্ষা পেয়েছিল। আজ বাঙালি জাতি এগিয়ে চলছে কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এটাকে পুঁজি করে রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর জন্যে এক শ্রেণির মুনাফাখোর ব্যবসায়ীকে উসকে দিতে চায় বিএনপি। বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এদের বিরুদ্ধে সরকার সজাগ আছে। সরকার বাজার মনিটরিং করবে, যাতে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি করে কেউ লাভবান না হতে পারে। বিএনপি-জামায়াত যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে খাদ্যদ্রব্য বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে উসকানিমূলক কথা বলে। যখন বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে কোনো অভাব নেই, সেখানে তারা বলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণ কারো সাথে তুলনা চলে না। এই ভাষণ ছিল একটি পরিপূর্ণ ভাষণ। এই ভাষণ নিয়ে অপব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল। পাকিস্তানি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, যারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল, তারা আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল। 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। আরও বক্তব্য রাখেন-  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী।

এমটি/এনএফ