চূড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সাতটি কলেজের স্নাতক দর্শন বিভাগের ১ম, ২য়, ৩য় অর্থাৎ ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০  
শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ব্যাপক ফল বিপর্যয় হয়েছে। কেন এমন ফল বিপর্যয় হলো তা স্পষ্ট নয়। বিগত কয়েক শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের টানা ফল বিপর্যয় হলেও সাতটি কলেজের প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরাও বলতে পারেন না কেন এমন ফল বিপর্যয় হচ্ছে। তাই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে পরবর্তী বর্ষে শতভাগ প্রমােশনের দাবি তাদের।

রবিউল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিগত বছরের মতো এই বছরেও ফল আশানুরূপ হয়নি। আমরা ৪ ঘণ্টার
পরীক্ষা ২ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়েছি। করােনায় দীর্ঘ বন্ধের কারণে আমরা ইতোমধ্যেই ৩ বছর অতিক্রম করে ফেলেছি। এমতাবস্থায় একই বর্ষে আবারও থাকা আমাদের জন্য্য ক্ষতির কারণ। আমাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হতাশায় রয়েছি।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:

১. প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে।

২. ২০ নম্বরের ইনকোর্স পরীক্ষা নিতে হবে।

৩. করোনা বিবেচনায় পরবর্তী বর্ষে বিশেষ সুযোগ দিতে হবে ও সামনের পরীক্ষাগুলোতে খাতার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের সামনে যান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘তিন দফা তিন দাবি, মানতে মানতে হবে’, ‘সাত কলেজের দাবি, মানতে মানতে হবে’ স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাহিনা আক্তার বানু বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি। গত ৯ মার্চ সাতটি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা এ বিষয়ে বৈঠক করেছি।

তিনি বলেন, আমরা দ্রুতই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানে আমরা পাঁচটি বিষয়ে সুপারিশ করব। এছাড়াও সুপারিশের পাঁচটি বিষয় সাত কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের পরামর্শক্রমেই ঠিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

আরএইচটি/জেডএস