দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আগামী ২৮ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে হরতালে সমর্থন জানায় সংগঠনটি। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ ও মানুষকে বাঁচানোর দাবিতে ২৮ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের ডাকে আমরা প্রগতিশীল ছাত্র জোট সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল, ডাল, তেল, গ্যাসসহ অন্যান্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে আজ দেশের খেটে খাওয়া জনগণের নাজেহাল অবস্থা। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী পরিবারের জীবন ধারণ করাই হয়ে উঠেছে দুরূহ। 

বর্তমান সরকার তার পুরো শাসনামল জুড়েই নানা অজুহাতে এ মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন করে তাকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছে। কখনও তারা বিশ্ববাজারের অজুহাত দেয়, কখনো বা বিরোধীদলের, কখনো নির্লজ্জের মত স্বীকার করে নেয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে তাদের কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, মানুষের আয় কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতি। আমদানিকারক, মিলার, চাতালের মালিক, আড়তদার, মজুতদার, ফড়িয়া সিন্ডিকেটসমূহের সঙ্গে সরকারের অশুভ আঁতাতের কারণে প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম আজ আকাশচুম্বি।

তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ, গ্যাসের দাম বেড়েছে ১৪৪ শতাংশ, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ আর পানির দাম বেড়েছে ২৬৪ শতাংশ। এর মধ্যে আবার চরম স্বেচ্ছাচারী পন্থায় পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ৬০ শতাংশ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনা রয়েছে ১১৭ শতাংশ আর তেলের দাম বৃদ্ধির কোনো সীমারেখা নেই।  

এ সময় হরতাল সফল করতে ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২২ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ২৪ মার্চ বুয়েট পলাশীতে প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ এবং ২৭ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগ চত্বরে মশাল মিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

অন্যান্যের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক রাসেদ শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য।

এইচআর/আরএইচ