শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিলেই বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শকে ধারণ করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কথা, কাজ ও হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।

শনিবার (২৬ মার্চ) সাড়ে ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়ে গেছেন কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। একটি দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে সাহসের প্রয়োজন তিনি তা বাঙালি জাতির বুকে তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

দীপু মনি বলেন, ১৯৭১ সালের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক লাফে অনেক দূর বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর থেকে দেশের মাথাপিছু আয়ে ধস নেমে আসে। এর পর থেকে আমরা ধুকে ধুকে কখনো এগিয়েছি, আবার কখনো পিছিয়েছি। কিন্তু এই সময়ে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি।

শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো অপশক্তি বাঙালির এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। নতুন প্রজন্মকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তার লেখা বইগুলো পড়তে হবে। রক্তের শিরায় শিরায় তার মতো সাহস, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ধারণের মাধ্যমে সোনার মানুষ হয়ে ওঠা যাবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানোর পর আবার সেটি বাস্তবায়ন করেছেন। তাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরও মৃত্যু ঝুকি মাথায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করার সংগ্রাম গড়ে তোলেন। সকল অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আর অধিকার আদায়ের জন্য সাহস সঞ্চার করেছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজীব কুমার ঘোষ, প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক ড. রেজাউর রহমানসহ অন্যান্যরা।

রুমান/আরআই