ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী কোটায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হলো স্নায়ু-বিকাশগত প্রতিবন্ধীরা।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার শিকার শিক্ষার্থীরাও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী কোটায় স্নায়ু-বিকাশগত প্রতিবন্ধীদের যুক্ত করার প্রস্তাব তোলেন যোগাযোগবৈকল্য বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান। পরে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে তাওহিদা জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ স্নায়ু-বিকাশগত প্রতিবন্ধকতার শিকার। তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যকে সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায়  নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারসকে প্রতিবন্ধী কোটায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবটি আমলে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি কার্যকর হবে। তারা যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন। তবে মৌখিক পরীক্ষার সময় তাদের সক্ষমতা, দক্ষতা, আগ্রহ অনুযায়ী তাদের বিষয় নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের সামাজিকীকরণের আওতায় এনে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের যে সুপ্ত প্রতিভা আছে তার বিকাশ ঘটানোর দায়িত্ব আমাদের ওপর বর্তায়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের সুযোগ করে দিয়েছি আমরা।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। ২০১৮ সালের আগপর্যন্ত শুধু দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সুবিধা পেতেন। ২০১৮ সালে হৃদয় সরকার নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পাওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে এলে নিয়ম পরিবর্তন করে শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকেও যুক্ত করা হয়। এবার যুক্ত হলেন স্নায়ু-বিকাশগত প্রতিবন্ধীরা।

এইচআর/ওএফ