বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, চাংক্রান্ত ও বিহু উৎসব উপলক্ষে চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মোরং, অহমিয়া আদিবাসী সম্প্রদায়সহ সবার সুখ, শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

সোমবার এক শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, বৈসাবি পাহাড়ি জনপদের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। আদিকাল থেকেই পাহাড়ে বসবাসরত সব আদিবাসী সম্প্রদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালন করে আসছে। বাংলা বছরের শেষ দুদিন ও নববর্ষের দিন এ উৎসব পালন করা হয়।

উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর আদি জনপদে নব আনন্দে জাগে মহা মিলনমেলা। দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, জলকেলিসহ আনন্দদায়ক নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।

বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, চাংক্রান্ত ও বিহু উৎসবের রয়েছে এক সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক আবেদন। সাংস্কৃতিক এসব ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক বলে মনে করেন উপাচার্য।

উপাচার্য তিন দিনব্যাপী আদি জনপদে এ জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবের সব আয়োজনের সফলতা কামনা করেন। নতুন বছরে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসব উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জীবনে নতুন আশা ও সম্ভাবনা জাগিয়ে উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি সাধিত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

এইচআর/আরএইচ