ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় ছাত্রদলের দুই কর্মীকে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। রোববার রাত ৮টার দিকে টিএসসির জনতা ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার দিকে জনতা ব্যাংকের নিচে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জহুরুল হক হল ছাত্রদলকর্মী আতিক মোর্শেদ। এ সময় হাজী মুহম্মদ মহসীন হল, কবি জসিম উদ্দিন হল ও জিয়া হল ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী এসে তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মানসুরা আলম তাকে উদ্ধার করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে হেনস্তা করেন।

মানসুরা আলম বলেন, আমরা টিএসসিতে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের ২০-২৫ নেতাকর্মী এসে আতিকের ওপর হামলা করে। তারা তাকে কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও হেলমেট দিয়ে মারতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও হেনস্তা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আতিক মোর্শেদ বলেন, হঠাৎ করে বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা চালায় মারধর করে। মানসুরা আপু এগিয়ে এলে তার ওপরও হামলা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিয়াসমিন শান্তা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন রহমান।

তবে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আক্তার হোসেন ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।  এতে আমাদের ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। সবচেয়ে গুরুতর আহত আতিক মোর্শেদ।  তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি দেব।

জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফা বলেন, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে এসে উল্টাপাল্টা কথা বলে, উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেয়। ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে যেটাতে আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলতে দেখা গেছে। তারই প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি। কিন্তু তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাই জুনিয়রদের সঙ্গে একটু হাতাহাতি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রদল যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশের বিপরীত। হত্যার হুমকিদাতা, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও সাবেক অষ্টম শ্রেণি পাস প্রধানমন্ত্রীর উপযুক্ত রাজনৈতিক ভাষায় তারা চর্চা করছে বলে আমরা মনে করি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ রয়েছে। ছাত্রদল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে সবসময় দায় চাপানোর চেষ্টা করে এবং ছাত্রলীগের নাম বলে আলোচনায় আসার চেষ্টা করে।

এইচআর/আরএইচ