২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আজ যে বাজেট ঘোষণা হয়েছে, সেই বাজেটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বিশ্বজুড়ে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা ইউরোপ-আমেরিকা ও চীনসহ সব উন্নত দেশকেই সামলাতে হয়েছে, কিন্তু তিনি সব ধরনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে একটি বিগ বাজেট পেশ করেছেন, যে বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, দেশে যেন কোনো বেকার না থাকে এবং যারা গৃহহীন আছেন তাদেরকে ঘর দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। লোডশেডিং জিনিসটা জাদুঘরে প্রবেশ করার পর্যায়ে রয়েছে। দেশের অভাবনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমরা চোখের সামনে দেখছি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলসহ বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোর সবাই কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে। সুতরাং আমরা বলতে চাই বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রয়েছে সেটি চলমান রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।

সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, দুই বছরের করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও আমাদের বাজেটের সীমা কমেনি। এটি বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ। বর্তমান বাজেটে শিক্ষার জন্য যে ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সেটি বিএনপি সরকারের ২০০৬-০৭ অর্থবছরের মোট বাজেটের চেয়েও বেশি। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, মেহনতি মানুষের যে আয় ও ব্যয়ের সক্ষমতা রয়েছে তার আলোকেই বর্তমান বাজেটের রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এ বাজেট তরুণ প্রজন্মের বাজেট, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট, শিক্ষার বাজেট, কর্মসংস্থানের বাজেট, মধ্যবিত্ত-মেহনতি মানুষের বাজেট। পৃথিবীর সব মধ্যম আয়ের দেশের জন্য টেক্সটবুক এক্সামপল বর্তমান বাজেট। বর্তমান সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করছে, সেগুলো থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে এ বাজেট।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইফ বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতসহ, কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীরা।

এইচআর/আরএইচ