চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে চবি সায়েন্টিফিক সোসাইটির (সিইউএসএস) আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি বলেন, আজকের যুগে বিজ্ঞান সর্বতোভাবে গ্রহণ না করলে আমরা পিছিয়ে যাব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করে আসছে। করোনার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক সম্মুখ সারিতে থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। আগামী দিনেও যদি কোনো মহামারি আসে তাহলে সেভাবে তার মোকাবিলা করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অধ্যাপক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ড. হাসিনা খান। তিনি বলেন, বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে এ ধরনের আয়োজন করতে হবে, করা জরুরি। বিশ্বে যত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন এসব আমাদের লোভ-লালসার কারণে। বিজ্ঞান চর্চা যত বাড়বে, মানুষ তত সচেতন হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। অতিলোভ ও সীমালঙ্ঘন থেকে বিরত থাকবে।

এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীত, শহীদদের শ্রদ্ধায় নীরবতা পালন, পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত, অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠাবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ-দৌলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. রাশেদ মোস্তফা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ বিভাগের পরিচালক মফিদুল আলম, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক বাসনা মুহুরী প্রমুখ।

আয়োজনের আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান। সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা আঁখি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউএসএস’র সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ বায়জীদ।

অতিথিদের আলোচনার পর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পোস্টার প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন, হ্যাকাথন, রোবো সকার কম্পিটিশন, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ অনুষ্ঠিত হয়।

রুমান/আরএআর