ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষা চলছে। শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত হলে ভর্তি যুদ্ধে লড়ছেন, অন্যদিকে বাইরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। কারও মা-বাবা, কারও ভাই, কারও দাদা এসেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে। তাদের প্রার্থনা একটাই- পরীক্ষাটা যেন ভালো হয়।

তেমনি একজন নাসরিন শিকদার। পেশায় একজন গৃহিণী। ছেলে আবু নাছের মাহতাব নাহাজকে পরীক্ষার হলে পাঠিয়ে প্রার্থনায় বসেছেন তিনি। তেলাওয়াত এবং দরুদ পড়ে ছেলের জন্য দোয়া করছেন। যেন পরীক্ষা ভালো হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পায়।

শুক্রবার (১০ জুন) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার স্বপ্ন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। তাকে নিয়েই এখানে এসেছি। সে পরীক্ষার হলে ডুকেছে তার জন্য অপেক্ষা করছি। আর বিভিন্ন আয়াত-সূরা পড়ে আমার ছেলেসহ সবার জন্য দোয়া করছি।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে বুয়েট এবং বিইউপিতেও পরীক্ষা দিয়েছে। তার স্বপ্ন ঢাবি কিংবা বিইউপিতে পড়া। আল্লাহ ভরসা, আল্লাহ যদি চায় তার স্বপ্ন পূরণ হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধারণা তো ভালোই ছিল কিন্তু এখন মাঝে-মধ্যে শুনি এখানে মারামারি হয়। এজন্য একটু খারাপ লাগে। এমনিতে প্রত্যেক অভিভাবকেরই স্বপ্ন থাকে সন্তানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো। আমারও তেমন স্বপ্ন রয়েছে। ঢাবিতে সবসময়ই ভালো শিক্ষার পরিবেশ থাকবে আমরা এমনটি প্রত্যাশা করি।

এসময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাসরিন শিকদার ছাড়াও কার্জন হল, ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারের সামনে, সমাজবিজ্ঞান চত্বরে, মধুর ক্যান্টিন, সবুজ চত্বরসহ বসে স্বজনের অপেক্ষায় রয়েছেন অভিভাবকরা। কেউ পত্রিকা পড়ে, গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কেউবা সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থনায়।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের (পরীক্ষার্থী) পরীক্ষাটা যেন ভালো হয়, সবকিছু যেন ঠিকঠাক থাকে এবং তাদের মানসিক সাপোর্ট দিতেই পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত আসা এবং অপেক্ষা করা।

এইচআর/এসএম