মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১০ জুন) বাদ জুমা ঢাকা কলেজের মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। পরে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে মিরপুর রোডে আবারও মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি সায়েন্স ল্যাবরেটরি ঘুরে নীলক্ষেত গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এসময় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

মিছিলে ‘ভারতীয় পণ্য, বয়কট, বয়কট’, ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘নূপুর শর্মার বিচার চাই’-সহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, যেকোনো ধর্মের মনিষী বা নেতারা শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের নিয়ে অযথা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অবশ্যই নিচু মানসিকতার কাজ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে ভারতের বিজেপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে তার বিচারের দাবি করছি।

কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে, এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কোনো ধর্মের বিষয়ে এ ধরনের বাড়াবাড়ি কাম্য নয়।

দুপুর ২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলের পর স্থানীয় নিউমার্কেটের মসজিদের মুসুল্লিদেরও মিরপুর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে। মিছিল থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটসহ হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে নিউমার্কেটের এরোপ্লেন মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা চরম অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। মুসলমানের কাছে প্রিয়নবীর সম্মান নিজের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে যেন তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো হয়। একইসঙ্গে ভারত সরকারকেও এই ঘটনায় ক্ষমা চাইতে হবে। এসময় তিনি ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও আহ্বান জানান।

আরএইচটি/এমএইচএস