স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ। এতে ১ টাকা বিনিয়োগ করলে ১৮ টাকা লাভ হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যে বাজেট বাড়াতে হলে প্রস্তুতিও বাড়াতে হবে।

সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত স্বাস্থ্য বাজেট ২০২২-২৩ এর বরাদ্দ এবং ব্যবহার শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. বেনজির আহমেদ। 

তিনি বলেন, সামনে পঞ্চবার্ষিক বাজেট। এখন রাত-দিন এ বাজেট নিয়ে কাজ করা উচিত। শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গবেষণা করে একটি বাজেট দিলে তা আগামী ১০ বছরের মধ্যে বড় সুফল দেবে।

ডা. বেনজির বলেন, বাজেট একটি ফিগার মাত্র। আমরা চাইলে প্রয়োজনে এর বেশি ব্যবহারও করতে পারি। চাইলে কম ব্যবহারও করা যায়। বাজেট কম হলেও সঠিকভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে এটির ব্যবহার করতে পারলে তা গুরুত্ববহ হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে। তবে আমাদের পরিচালকদের অনেকেই এর জন্য তৈরি নন। অনেকে বাজেট কী দেবেন, কোথায় কত খরচ করবেন- সে সম্পর্কে ভালো জানেনই না। এতে তাদের মাধ্যমে বাজেট চাওয়া সম্ভবও হয় না।

তিনি আরও বলেন, উপজেলাগুলোতে আমরা চিকিৎসক দিই, কিন্তু এতে ফল আসে না। দেখা যায়, আমরা ছয়জন চিকিৎসক দিলাম কিন্তু বসার জায়গা আছে তিনজনের। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা স্পৃহা থাকলেও সুযোগ-সুবিধার অভাবে কাজ থেকে বিরত থাকেন। চিকিৎসকদের সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়ে প্রয়োজনে বাড়িভাড়া, মোটরসাইকেল দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিলে তাদের মাধ্যমে ভালো সেবা পাওয়া যাবে।

ঢাবির স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. শারমীন মোবিন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক এবং ওই বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার যে বাজেট জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করেছেন, সেখানে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ খাত প্রস্তাবিত মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে, বিদায়ী (২০২১-২২) অর্থবছরের বাজেটেও এ হার একই ছিল।

এইচআর/আরএইচ