ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক এজিএস ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সিনেট সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছি। আমরা চাই এই ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং ক্যালেন্ডার ইভেন্টে পরিণত হোক। এখানে প্রতি বছর সিনেট অধিবেশন বসে, শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়, শিক্ষক নির্বাচন হয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচন হয়। এভাবে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকসু নির্বাচনেরও দাবি জানাচ্ছি। আমি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সাদ্দাম বলেন, শিক্ষার্থীরা নানা সংকটের মুখোমুখি। তারা পুষ্টিকর খাবার পান না, এক রুমে ২০-২৫ জন গাদাগাদি করে থাকতে হয়। হলের প্রত্যেক রুমেই মিনি গণরুম। শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত লিফটের ব্যবস্থা নেই, বাসের ব্যবস্থা নেই, আইন বিভাগে ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয় দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।

সাদ্দাম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যায় কিনা সে বিষয়ে ভেবে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব। এছাড়া টিএসসির সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় সেটি পর্যাপ্ত নয়। আজকের এই সিনেট অধিবেশন থেকে সংগঠনগুলোর জন্য অন্তত ১ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।

সাদ্দামের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন শিক্ষার্থীদের নানান সংকটের বিষয় তুলে ধরেছেন। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নির্দিষ্ট ফোরামে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং সমাধানের চেষ্টা করব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্যসংখ্যা ১০৫। এর মধ্যে ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী-প্রতিনিধি থাকেন। পরবর্তী ডাকসু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রত্ব থাকা সাপেক্ষে ওই শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিরা সিনেটের সদস্য থাকতে পারেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী ডাকসুর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও সাবেক ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সিনেট সদস্য পদে বহাল আছেন।

সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে তারা দাওয়াতও পেয়েছেন। সাদ্দাম ছাড়া এতে অংশ নিয়েছেন তিলোত্তমা শিকদার। তবে ঘোষণা দিয়েই এই অধিবেশন বর্জন করেন নুরুল হক নুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন না গোলাম রাব্বানী এবং সনজিত চন্দ্র দাস।

এইচআর/এসএম