জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য সাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আগামী তিন বছরের জন্য সাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশন বাবদ ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৯২ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। সাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের জন্য রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

সাইফাইন্ডার সাবস্ক্রিপশনের ফলে রসায়ন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের গবেষকরা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকাশিত  প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবে। যা মৌলিক গবেষণা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। 

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, সাইফাইন্ডার অ্যাক্সেসের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিশেষ করে বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সারাবিশ্বে তাদের চলমান গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ করতে পারবেন। আমাদের গবেষকদের আধুনিক মানের গবেষণা পরিচালনা ও পরিকল্পনা করা সহজতর হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা গবেষণার মান বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি। গবেষণা বাড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি। গবেষণা বাড়াতে বাজেট বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. লুৎফর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক ড. পরিমল বালা প্রমুখ। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাইফাইডারে সাবস্ক্রিপশনের অনুমোদন পেয়েছে। দেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুমতি পায়নি। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) এই অনুমোদন রয়েছে।

এমটি/এসকেডি