পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। শহীদ মিনার ও জয় বাংলা চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরালে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, সমস্ত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এই সেতু একদিকে যেমন পদ্মাপাড়ের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করবে, অপরদিকে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখবে। 

এদিকে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের মিলনায়তনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে প্রশাসন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

এ ছাড়া শোভাযাত্রায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, সাবেক উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার, ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, সাবেক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম সবুজসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে 'পদ্মা সেতুর আর্থ-সামাজিক প্রভাব' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে চবি প্রশাসন।

রুমান/আরআই