দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ৬৯ পেরিয়ে ৭০ বছরে পদার্পণ করেছে। তবে এবারের উদযাপন অনেকটা সাদাকালো আয়োজনে শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠা দিবসকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই আলোকসজ্জা কিংবা বড় কোনো আয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ সংকট আর করোনার প্রকোপ বাড়ায় এবারের আয়োজন শিথিল রাখা হয়েছে।

এ বছর দিবসটিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে জমকালো কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়নি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজনের বাজেটের টাকা বন্যার্তদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আলোকসজ্জা ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান না থাকায় কিছু শিক্ষার্থীর ক্ষোভ থাকলেও সমর্থন জানিয়েছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রমজান আলী বলেন, ক্যাম্পাসে আমার এটাই প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। কিন্তু এমন দিনে চোখে পড়ার মতো বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। কিন্তু শুনলাম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বাজেট দিয়ে বন্যার্তদের সাহায্য করা হবে। নিশ্চয়ই এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর টাকা দিয়ে যদি বন্যার্তদের দিকে হাত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে থাকে, তাহলে আমি তার পক্ষে। কিন্তু প্রশাসনের উচিৎ হবে যত দ্রুত সম্ভব এই টাকাগুলো নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।

ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, নির্ধারিত বাজেট থেকে আমরা কিছু টাকা খরচ করেছি। বাকি টাকা বন্যার্তদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। কত টাকা আমাদের বাঁচল সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে হিসাব করে বন্যার্তদের দেওয়া হবে।

আলোকসজ্জা না থাকার বিষয়ে উপ-উপাচার্য সুলতান-উল- ইসলাম বলেন, এ বছর আলোকসজ্জা না করার পেছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য আছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বাজেট থেকে বেঁচে যাওয়া টাকা বন্যার্তদের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এছাড়া সারাদেশে বর্তমানে যে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছে। এই বিষয় দুটি বিবেচনায় আমরা এ বছর আলোকসজ্জা বন্ধ রেখেছি।

মেশকাত মিশু/এসপি