শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৫ জুলাই) রাত ১১টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত পৃথকভাবে এসব মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলগুলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এসময় তারা ‘বুলবুল খুন কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বুলবুলের খুনিরা হুশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এসময় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অনুরোধে তারা সড়ক থেকে সরে আসেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, গাজী-কালু টিলা এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। একইসঙ্গে জায়গাটি সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে দ্রুত হয় সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি বুলবুলের পরিবারের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগিয়ে আসবে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করা হবে।

এদিকে শিক্ষার্থী খুনের বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান ঢাকা পোস্টকে জানান, শাবিপ্রবি এলাকায় বুলবুলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে খবর দেয়। তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বর্তমানে মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলায় শিক্ষার্থী বুলবুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মাসুদ আহমদ রনি/এমএইচএস