দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। আজ (শনিবার) দুপুর ১২টায় দেশের অন্যান্য কেন্দ্রের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও (জবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকে জবি ছিল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর। এদিন অন্য কেন্দ্রের  ৮০ পরীক্ষার্থী ভুলবশত এ কেন্দ্রে চলে আসেন।  পরে মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয় ।

পরীক্ষা ১২টায় শুরু হলেও শনিবার সকাল ৯টা থেকেই ভর্তিচ্ছুরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট, দ্বিতীয় গেট, তৃতীয় গেট ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেট দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়।

প্রবেশপথের পাশেই ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তা ডেস্ক, যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা কক্ষ ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় যানজট ছিল। যাতে করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে।

এদিকে, ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা ৮০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি কক্ষে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এ বছর বিশেষ কোটার কোনো শিক্ষার্থী মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা দেননি।

কেন অন্য কেন্দ্রের হয়ে এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা— এ প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, তাদের প্রবেশপত্রে কেন্দ্রের নাম নিদিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। অনলাইন থেকে কেন্দ্র জানার কথা থাকলেও তারা তা না করে আবেদনে দেওয়া কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চলে আসেন। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি৷ যে শিক্ষার্থীরা ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছেন, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় যত সমস্যা ছিল, এবার তার একটিও চোখে পড়েনি। এবার সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে সক্ষম হয়েছি।

আরএইচ