ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ‘স্কুল অব ফার্মেসি’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তামারা হাসান আবেদ, উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং ও স্কুল অব ফার্মেসির ডিন অধ্যাপক ইভা রহমান কবির উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড।

উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওষুধশিল্পে আমরা অনেক এগিয়ে। দেশের ওষুধের চাহিদার ৯৭ শতাংশ দেশেই উৎপন্ন হচ্ছে, আর বাকি ৩ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের ২৫৭টি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ওষুধ রপ্তানি করছে।

তিনি বলেন, নতুন স্নাতকদের শিল্পে যোগদানের জন্য নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশের এপিআই বাজার রূপান্তরের সময় এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি জায়গা, যেখানে জ্ঞান উৎপন্ন হয়। আর সেজন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমি আত্মবিশ্বাসী, এই ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসি থেকে পাস করে গ্রাজুয়েটরা পেশায় যোগ্য ফার্মাসিস্ট হিসেবে প্রবেশ করবেন এবং শুধু আমাদের দেশেই নয় বরং বিশ্বব্যাপী অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, কোয়ালিটি এডুকেশনের মাধ্যমে কোয়ালিফাইড গ্র্যাজুয়েট বের করার চেষ্টা করছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমরা শিক্ষার্থী বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণে আমরা মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা, আন্তর্জাতিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ২০১০ সালে মাত্র ৩জন শিক্ষার্থী নিয়ে ফার্মেসি বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। আজ থেকে শুরু হলো `স্কুল অফ ফার্মেসি`। বর্তমানে এই বিভাগে চার বছর মেয়াদী স্নাতক (বি.ফার্ম) চালু আছে। ভবিষ্যতে এখান থেকে আরও চারটি ডিগ্রি নেওয়া যাবে।

এএজে/আরএইচ