চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছেন শাখা ছাত্রলীগের বিজয় ও সিএফসি গ্রপের একাংশের নেতা-কর্মীরা। যার ফলে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো শিক্ষক বাস ও শাটল ট্রেন।

রোববার (৩১ জুলাই) রাত ২টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রধান ফটকে তালা দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন।

বিজয় গ্রুপের নেতা নয়ন মোদক ঢাকা পোস্টকে বলেন, অছাত্র এবং পদবাণিজ্যে ভরপুর এই কমিটি। অনুপ্রবেশকারী আর স্বজনপ্রীতি যেখানে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। আমরা চাই ঐতিহ্যের সংগঠন এভাবে যেন কারও একক স্বার্থে ব্যবহার না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এ দাবি আদায় না হবে, এ অবরোধ চলবে।

বিজয় গ্রুপের আরেক নেতা আল আমিন বলেন, আমরা তিন দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছি। আমাদের দাবিগুলো হলো- ইয়াবা ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে বহিষ্কার করতে হবে। কমিটি বর্ধিত করে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের তাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং বিবাহিত, অছাত্র ও অন্যান্য দল থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কার করতে হবে। না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ অবরোধ চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ মিছিল করছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। এমনকি শাটল ট্রেনও অবরোধ করা হয়েছে। যার কারণে কেউই ক্লাস করতে বা করাতে আসতে পারেনি।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ৬৯ জনকে। এছাড়া ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরও ২৬৩ জনকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ২১ জনকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

রুমান/এসপি