মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বন্ধ থাকা বৃত্তি পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আনাস ইবনে মুনীরের সঞ্চালনায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশ নেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সদিচ্ছা না দেখায় এবং সমস্যার সমাধান না করে তাহলে হাইকোর্টে রিট করার ঘোষণা দেন তারা। মাদরাসা বোর্ড, মাউশি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে বৃত্তির পাওনা টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। 

মানবন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আফরাজ আল মাহমুদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে মাউশি, মাদরাসা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবার কাছেই গিয়েছি। কিন্তু আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার তো পাচ্ছিই না, বরং লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের শিকার হচ্ছি। অতিশিগগিরই বৃত্তির টাকা দিতে হবে।

আইন বিভাগের চতুর্থ বষের শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা অতীতেও অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং এখনো হচ্ছেন। বৃত্তির টাকা কোনো দয়া-দক্ষিণা নয়, এটা আমাদের অধিকার। অধিকার আমাদের ফিরিয়ে না দিলে আমরা প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিট করে হলেও তা আদায় করব।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল ওহাব বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পেয়ে পড়াশোনা করছেন, কিন্তু মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। এর মাধ্যমে তাদের মেধার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ সালে আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখা বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাচ্ছেন না। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এ সমস্যার শুরু। 

গত তিন বছরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সমাধানে কে এগিয়ে আসবে, সেটা নিয়েও আছে দ্বন্দ্ব। এর ফলে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মাদরাসা শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা বোর্ড ও মাউশিতে গেছেন, কিন্তু ফিরেছেন খালি হাতে।

এইচআর/আরএইচ