জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সাত কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন— উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাব্বির হোসেন সাগর ও তোফায়েল আহমেদ গালিব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কামরুল হোসেন চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের সৌরভ ও খালিদ হাসান ধ্রুব, মার্কেটিং বিভাগের খালিদ সাইফুল্লাহ এবং ইংরেজি বিভাগের শাহরিয়ার হিমেল। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচ ও মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কর্মী।

আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, মারধরের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডুকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দিন শিকদার এবং সদস্য সচিব প্রক্টর অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার গৌতম কুমার বিশ্বাস। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগস্টের মাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আপাতত কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সাত জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করেন মওলানা ভাসানী হলের কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনার জেরে মীর মশাররফ হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের সামনে মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগকর্মী সজিব হাসান সাজকে মারধর করে। পরে সজিব হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

মো. আলকামা/এসএসএইচ