জাতীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। হল খোলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র জুনায়েদ হুসেইন খানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলন শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে এটি এখন জাতীয় সিদ্ধান্তে পরিবর্তিত হয়েছে। আমাদের ভিসি স্যার জাতীয় সিদ্ধান্তের বাইরে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তে ১৭ মে পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ মার্চ থেকে হলে উঠার দাবির আর কোনো যৌক্তিকতা থাকে না।

এতে আরও বলা হয়, আপনারা জেনে থাকবেন উন্নত বিশ্বে অক্সফোর্ড, এমআইটিসহ বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবারও বন্ধ রেখে অনলাইন কার্যক্রমে স্প্রিং সিজন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুত টিকার আওতায় আনা হোক। যাতে আমরা শিগগির আগের মতো অফলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারি।

তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের আগেই টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। তার সরকার ও নেতৃত্বে আস্থা রেখে তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বদ্ধপরিকর।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা চারটি দাবির কথাও জানান। দাবিগুলো হলো- প্রস্তাব অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা অ্যাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বিভাগ যুক্ত করা, শিক্ষার্থীদের হয়রানি দূর করতে হল খোলার আগ পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট-পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা, হল খোলার পর শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ক্লাস নেওয়া এবং পূর্ণ প্রস্তুতির সুযোগ দিয়ে পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা, সেশনজট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা করে হল খোলার পূর্বেই লিখিত জানিয়ে দেওয়া।

এদিকে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষার্থী জানান, ‘জুনাইদ ছাত্রলীগ করে। তার ভাইয়েরা হয়ত মাইন্ড করবে, তাই সে এ রকম (হল খোলার দাবি প্রত্যাহার) লিখছে। এটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।’

এমএইচএস