আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবি রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগামী ১৭ এপ্রিল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। আমরা যেন ওইদিন সবাইকে টিকা দিতে পারি সেজন্য বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আমাদের সবধরনের প্রচেষ্টা চলছে।

দেশে করোনার সর্বশেষ অবস্থা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৩৮৪ জনে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৯৫৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৫ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪১০ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৪ জনে।

টিকা নিলেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন

দেশে টিকাদান কর্মসূচির ১৯তম দিনে আরও এক লাখ ৮১ হাজার জন মানুষ টিকা নিয়েছেন। টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, গতকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৯ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ২৭ জনের।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৫ জন, নারী নয় লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৫ জন। তাদের মধ্যে ৬৯৬ জনের মাথাব্যথা, গলাব্যথা, হালকা জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে; যা মোট গ্রহীতার শতকরা শূন্য দশমিক ০২৪ শতাংশ।

এমএআর