চাকরির আবেদন ফি বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ ও সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় সব ধরনের আবেদন ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে আর্থসামাজিক অবস্থা এমন যে, শিক্ষা জীবনেই একজন শিক্ষার্থীকে উপার্জনের পথ খুঁজতে হয়, যা করোনা পরবর্তীতে আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিউশনি অথবা বিভিন্ন খণ্ডকালীন চাকরি করে নিজের পড়াশোনার খরচ বহন করে। কখনো কখনো পরিবারের ভারও বহন করতে হয় শিক্ষার্থীকে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির আবেদনের ফি বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন না।

‌‘এছাড়াও অধিকাংশ সরকারি চাকরির পরীক্ষা ঢাকা শহরে হওয়ায় মফস্বল থেকে আসা চাকরি প্রার্থীদের যাতায়াত এবং থাকা খাওয়া বাবদ প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। অসংখ্য বেকার এবং শিক্ষার্থীর জন্য এত টাকা খরচ করে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।’

নেতারা আরও বলেন, লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারের দেশে যেখানে চাকরিকে সহজলভ্য করার কথা, সেখানে চাকরিকে কুক্ষিগত করে ফেলছে সরকার। চাকরির আবেদন ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে, সরকার বেকারত্ব নিরসন না করে বেকারত্বকে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে। উন্নয়নের নামে সরকার বিভিন্ন ধরনের যে মেগা প্রজেক্টগুলো চলছে এবং সেই মেগা প্রজেক্টগুলোকে কেন্দ্র করে আমলা মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে দুর্নীতির মহোৎসব চালাচ্ছে, সেই টাকার উৎস হিসেবে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভ্যাট, ট্যাক্সসহ নানাবিধ অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা।

আবেদন ফি বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, বৃহত্তর বেকার জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে আদায় করা হচ্ছে চাকরির আবেদন ফি। যা ছাত্র-যুবসহ সবার কাছে বোঝা হিসেবে পরিণত হয়েছে। আমরা চাকরির আবেদন ফি বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে সব ধরনের ফি আদায় বন্ধ করতে হবে, শিক্ষা শেষে কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে, সব বিভাগীয় শহরে চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করতে হবে।

এইচআর/এমএ