ছবিতে ডানে এস এম রিয়াদ হাসান

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাধে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও পদন্নোতি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাহিত্য সম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসান।

বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সই করা একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি তিনি (রিয়াদ) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ সভাপতি জয়ের ঘনিষ্ঠ ও একই এলাকার হওয়ায় এস এম রিয়াদের বেলায় সব নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।

জানা যায়, রিয়াদ ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কয়েক বছর আগেই তার স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে। তবুও অবৈধভাবে থাকছেন ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩১৩ নম্বর রুমে। তার কক্ষে আছে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কুলার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের একজন সহ-সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ চলছে মাই ম্যানের ভিত্তিতে। যে যার ঘনিষ্ঠ তাকেই সব সুযোগ-সুবিধা ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এস এম রিয়াদকে কোনো সাংগঠনিক নিয়ম কানুন না মেনে পদোন্নতি দেওয়া হয়। জয় সভাপতি হওয়ার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন রিয়াদ।

তবে এ বিষয়ে জানতে গতরাত থেকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ব্যবহৃত ফোন নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (রিয়াদ) সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা সাংগঠনিক সম্পাদক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এসব পদের কোনটিই শূন্য না থাকায় আমরা তাকে তা দিতে পারিনি। তাকে সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়। প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় তার মন খারাপ ছিল। যখন তাকে পদ দেওয়া হয়, তখন তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেননি। কিন্তু যেহেতু এখন তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাই তার পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে গেছে।’

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রহীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এখন ঢাকার বাইরে আছি, ফিরেই খোঁজ নেবো। কেউ সরকারি চাকরি পাওয়ার পরও রুম দখলে রেখে বিলাসিতা করা কাম্য নয়। এটা অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের মধ্যেও পড়ে না। যারা নেতা বানায় তাদেরও আরও সচেতন হওয়া উচিত।


এইচআর/এমএ