রাজধানীর লালমাটিয়ায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে ৪৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন স্বাধীন সরকার নামের ঢাকা কলেজের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থী৷ তিনি কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র৷ 

১৫ অক্টোবর রাতে লালমাটিয়ায় সানরাইজ প্লাজা সংলগ্ন মিরপুর রোডে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ৩৯৪ ধারায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এতে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গেল ১৫ অক্টোবর রাতে চাচাত ভাই মোশারফ হোসেন সবুজের সঙ্গে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় ঢাকা হাউজিংয়ে নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন স্বাধীন সরকার। রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার  দিকে লালমাটিয়ায় সানরাইজ প্লাজা প্লাজা সংলগ্ন মিরপুর রোডে পৌঁছালে ভাসমান পানবিক্রেতাকে দেখে চালক রিকশা থামান। 

রিকশা থেকে নেমে স্বাধীন সরকার পান কিনছিলেন। তখন ওই স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যক্তি রিকশাচালককে জেরা শুরু করেন। তখন স্বাধীন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা স্বাধীনের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন এবং গেঞ্জির কলার ধরে থাপ্পড় দেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কিছুসময়ের মধ্যেই আরেকটি মোটরসাইকেলে আরও দুইজন আসেন। তাদের মধ্যে একজন স্বাধীনের পিঠে গুলি ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে সঙ্গে থাকা সবকিছু দিয়ে দিতে বলেন।

সবকিছু দিতে না চাইলে তারা (অজ্ঞাতনামা আসামিরা) কিল, ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় স্বাধীনের প্যান্টের  পকেটে থাকা বাড়িভাড়ার ১৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং চাচাত ভাইয়ের পায়জামার পকেটে থাকা ২৬ হাজার টাকা নিয়ে নেন তারা। তারপর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত লালমাটিয়ার দিকে চলে যান। স্বাধীনরা চিৎকার দিলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে ওই রিকশায় করেই তারা বাসায় চলে যান।

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন জানিয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মো. স্বাধীন সরকার বলেন, ঢাকায় আমি পরিবারের সঙ্গে থাকি। এই টাকা বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসছিলাম। ছিনতাইকারীদের অনেক অনুরোধ করেছিলাম টাকা না নেওয়ার জন্য। তারা অনুরোধ না শুনে উল্টো মারধর করে টাকাগুলো নিয়ে গেছেন। এমনকি তারা রিকশাচালকের পকেট থেকেও টাকা ছিনিয়ে নেন। টাকা হারিয়ে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। পরে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ঘটনার বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে থানায় মামলা দায়ের করেছি।

মামলাটি আমলে নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, মামলাটি নিয়ে আমরা কাজ করছি৷ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে৷  

আরএইচটি/আরএইচ