রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, শেখ রাসেল আমাদের মাঝে অনন্য এক নাম। বাংলাদেশের শিশু, কিশোর, তরুণ, বৃদ্ধ প্রতিটি মানুষের কাছে এক ভালোবাসার নাম।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ রাসেলকে জানার উপদেশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শেখ রাসেলকে জানা আমাদের সকলের প্রয়োজন। শেখ রাসেলকে নিয়ে শতাধিক বই আছ। আমাদের সকলের উচিৎ বইগুলো নিজে পড়া এবং বাচ্চাদের পড়তে আগ্রহী করা। আমাদেরও ছেলে-মেয়ে আছে, আমাদের উচিৎ তাদেরও শেখ রাসেলের মতো গড়ে তোলার চেষ্টা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছোটবেলা থেকেই চর্চা করানো।

শেখ রাসেলের স্মৃতিতে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি আরও বলেন, জেলখানায় যখন শেখ রাসেল তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে যেত, সে আর আসতে চাইতো না। শেখ রাসেল জানতো জেলখানাটা তার বাবার বাড়ি। যারা শেখ রাসেলের মতো একটি শিশুকে হত্যা করতে পেরেছে, তারা আমার-আপনার শিশুকেও হত্যা করতে পারে, পারে বাঙালি জাতিকে হত্যা করতে। শেখ রাসেল হত্যার পেছনে যারা ছিল আমরা তার পূর্ণ বিচার চাই। পাশাপাশি আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যারও পূর্ণ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

স্কুলের অধ্যক্ষ লিসাইয়া মেহজাবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, ছাত্র-উপদেষ্টা এম তারেক নূর, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সহকারী প্রক্টর, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় সিনেট ভবন থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে প্যারিস রোড হয়ে শেখ রাসেল মডেল স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্কুল প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিনের কেক কেটে ও সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর।

এসপি