মশাল মিছিল শেষে সমাবেশে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি অনিক।

তিনি বলেছেন, ‘এই তথাকথিত স্বাধীনতার মাসে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের জনগণ এবং আমাদের সহযোদ্ধাদের নিয়ে গুজরাটের কসাই, দক্ষিণ এশিয়ার শত্রু মোদিকে ঠেকাব।’

বুধবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) করা মশাল মিছিল থেকে আটক সাত ছাত্রের জামিন না মঞ্জুর করার প্রতিবাদে এ মশাল মিছিল আয়োজন করা হয়।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে শামসুন্নাহার হল, শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে কাটাবন মোড় ঘুরে ফের টিএসসিতে এসে শেষ হয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে অনিক বলেন, ‘রাজনীতি করার অপরাধে সারাদেশে বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। হাসিনা সরকার কোনো রাজনৈতিক অধিকার রাখছে না। বুর্জোয়া শ্রেণির দল বিএনপিকে উৎখাতের পাঁয়তারা করছে। এমন পরিস্থিতিতে সহিংসপথে হাসিনাকে উৎখাত করা ছাড়া আর কোনো শান্তিপূর্ণ পথ নেই।’

সমাবেশে লেখক মুশতাক হত্যার বিচার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, এই আইনে  আটকদের এবং সাত ছাত্র নেতার মুক্তির দাবি জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘আজ সারাদেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে। ১৭ কোটি সাধারণ মানুষ এই কারাগারে বন্দি জীবন-যাপন করছে। বাংলাদেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশি রাষ্ট্র এবং এই কারাগার ভাঙা ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।’

তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে আমাদের কমরেডদেরকে যদি মুক্ত করা না হয় তাহলে বাংলাদেশের সমস্ত কারাগারে, আদালতে আমরা জায়গা করে নেব। আমাদের আন্দোলন আরও বেশি দীর্ঘ হবে। এই সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে, তাহলে আমাদের দাবি হবে একটা, খুনি হাসিনার পদত্যাগ। এটি ছাড়া আমাদের আর কোন দাবি থাকবে না।’

এ সময় তিনি পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জয় বলেন, ‘কমরেডদের মুক্তি এবং লেখক মুশতাকের হত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের সাবকে সভাপতি জওহর লাল রয়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নিশান, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি মাসুদ রানা ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার।

এফআর