ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড় ও বৃষ্টির পানিতে ঢাকা কলেজের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট সবাই আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে কলেজ পরিদর্শনে যান অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস, দক্ষিণ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার মাহমুদ, দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক নাসির উদ্দীন, শহীদ ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, উত্তর ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ওবায়দুল করিম, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াছ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মাহমুদুল হাসানসহ অন্য শিক্ষকরা।

পরিদর্শনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে— জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ইতোমধ্যে কলেজের নির্মাণ কমিটির সদস্যদের নিয়ে হল তত্ত্বাবধায়কসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি প্রতীয়মান হয়েছে। বিশেষ করে বড় বড় গাছ দেয়ালের ওপর পড়ে নিরাপত্তা দেয়াল ও সীমানা দেয়ালে বেশ কয়েকটি বড় ফাটল ও ভাঙ্গন হয়েছে। এগুলো দ্রুত মেরামত ও সংস্কার করতে হবে। না হয় প্রচণ্ড ঝুঁকি তৈরি হবে। বিশেষ করে নায়েম সড়কের পাশে যে সীমানাপ্রাচীর রয়েছে সেটি দ্রুত মেরামত করতে হবে। না হয় রাস্তার পাশে চলাচল করা মানুষজনের জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে যায়। আমি ইতোমধ্যেই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছি। পরবর্তীতে সহকারী ইঞ্জিনিয়ারও এসব পরিদর্শন করেছেন। তারা সবাই আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে দ্রুতই এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের জন্য কলেজ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে পানি নিষ্কাশনের কোনো জায়গা না থাকায় সহসাই এর কোনো সমাধান নেই। বিজিবির সঙ্গে আমাদের কাউন্টারে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারা নিরাপত্তা বিবেচনায় দেয়ালের সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ রেখেছি। যেহেতু সেটিও একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব যেন পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী রাস্তা তৈরির মাধ্যমে জলাবদ্ধতার সমস্যা দ্রুত নিরসন করা যায়।

এসএসএইচ