আবাসিক হল নির্মাণ ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়ে আন্দোলন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউটে ক্লাস বর্জন করে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন তারা। 

দিনভর আন্দোলনের পর দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় আগামী রোববারও চলবে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি জানিয়েছেন আন্দোলরত শিক্ষার্থী সায়িদ কবির। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ধরনের আশ্বাস দিয়েছে তা আমরা আগেও পেয়েছি। সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী আমাদের কাছে দাবিগুলো নিয়ে এসেছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। ইনস্টিটিউট পরিচালকের সঙ্গেও আমার যোগাযোগ হয়েছে। যেসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের সুযোগ রয়েছে সেগুলো শিগগির শুরু হবে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে হবে। আশাকরি শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রমে মনোযোগী হবে।

২২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ খাবার ও পানির ব্যবস্থা, বেসিনের সুব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইন্সট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, অজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা। 

রুমান/এমজেইউ