ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা কলেজে অধিভুক্ত সাত কলেজের সমাবর্তন ভেন্যু পরিদর্শন শেষে আয়োজন সুন্দর হচ্ছে জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

ভিসি বলেন, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগীতার মাধ্যমে সমাবর্তনের আয়োজন এগিয়ে চলছে। এটি খুবই আনন্দের যে এই মুহূর্তে আমরা বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সহকর্মী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষসহ  সবাই এখানে উপস্থিত আছি। অনেক শিক্ষার্থীরাও এখানে রয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো দৃষ্টান্ত। যার মাধ্যমে বুঝতে পারছি আয়োজন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে এবং সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঘটেছে।

আরও পড়ুন>>ঢাবির সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ৩০৩৪৮ গ্র্যাজুয়েট

তিনি বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। মানুষ হিসেবে ভুলও রয়েছে। তবে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। যেটুকু ঘাটতি রয়েছ আন্তরিকতার শক্তি যদি আমরা ধরে রাখতে পারি তাহলে কিন্তু তা পূরণ হবে। সমাবর্তন আরও জাঁকজমক ও সুন্দরভাবে করতে পারলে আমাদের ভালো লাগতো।

ভবিষ্যতে আয়োজন আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা ক্রমান্বয়ে সনাতনী পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তবে এটিও অত্যন্ত আনন্দের যে ৫৩তম সমাবর্তনে  উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করেছেন। যা বিগত সময় কখনো ঘটেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে সমাবর্তনে অংশ নিলেও সাত কলেজ কেন আলাদা এমন প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে দিয়ে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে যেকোনো সময় হুটহাট মন্তব্য করাও কঠিন। তাছাড়া সমাবর্তন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজন যেখানে রাষ্ট্রপতি স্বয়ং উপস্থিত থাকেন। সুতরাং এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়াটাই সমীচীন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউছুফ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. টি. এম. মইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজ ভেন্যুর আহ্বায়ক ড. মো. মোহসেন উদ্দিন ফিরোজ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, বিসিএস শিক্ষা সমিতির ঢাকা কলেজ ইউনিটের সম্পাদক ড. মো. দিললুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম, মো. আলতাফ হোসেন, নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

আরএইচটি/এমএ