সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার (১৯ নভেম্বর)। এই সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ফলে হঠাৎ করেই রাস্তায় যানবাহনের পরিমাণ কমে গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। যানবাহন কম থাকার সুযোগে পূর্বের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশাচালকরা।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) শহর ঘুরে দেখা যায়, আগের তুলনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। সেই সুযোগে সিএনজি এবং রিকশাচালকরা যাত্রীদের থেকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়া নিচ্ছেন। এতে করে ভাড়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে নগরীর আম্বরখানা পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া ১৫ টাকা হলেও কিছু কিছু সিএনজিচালক সেখানে ভাড়া দাবি করছেন ৩০-৩৫ টাকা। একই স্থান থেকে নগরীর বন্দর পর্যন্ত ভাড়া ২৫ টাকা হলেও কিছু কিছু চালক দাবি করছেন ৪০-৪৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সুবিদবাজার পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা হলেও সিএনজিচালকরা সেখানে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দাবি করছেন। এদিকে রিকশাচালকরাও দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া দাবি করছেন।

সিএনজিচালক সজীব মিয়া বলেন, আজকে শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কম কিন্তু যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। এজন্য অনেকেই বেশি ভাড়া দাবি করছেন।

শাবি শিক্ষার্থী সৌরভ আহমেদ বলেন, সিলেটে সিএনজিচালকদের অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা অনেক পুরোনো অভ্যাস। তারা নতুন কোনো অজুহাত পেলেই ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের বাসিন্দা আব্দুল ওহাব বলেন, চালকরা সিএনজি ভাড়া অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বিকল্প হিসেবে রিকশা থাকলেও এর ভাড়াও অনেক বেশি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তদারকি চোখে পড়ছে না। তাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরই যত ভোগান্তি।

এমজেইউ