অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাজধানীর আফতাবনগরে যাত্রা শুরু করল নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষিত-দক্ষ শিক্ষক, সুবিশাল নিজস্ব ভবন, মনোরম শ্রেণিকক্ষ এবং নিজস্ব খেলার মাঠসহ শিক্ষাঙ্গনের সব সুবিধা রয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ফিতা কেটে নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএস বাংলা গ্রুপের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ঢালী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী দীন মোহাম্মদ খসরু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন ঢালী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আফতাবনগর ছিল একটি অবহেলিত এলাকা। মানুষ নানা ধরনের ভয়ের কারণে এখানে বাড়িও নির্মাণ করত না। বর্তমানে আফতাবনগর অনেক পাল্টে গেছে। এতদিন এই এলাকায় ভালোমানের স্কুল-কলেজ ছিল না। এবার সেই অভাব পূরণ করতে যাচ্ছে নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এতে করে আফতাবনগরবাসীর সন্তানদের পড়াশোনায় অনেক কষ্ট লাঘব হবে।

বক্তারা আরও বলেন, যেখানে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলগুলোতে ভর্তি ফি নেওয়া হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, সেখানে নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তি ফি মাত্র ১০ হাজার টাকা। এমনকি কেউ যদি ভর্তি মেলা চলাকালীন সময়ে ছেলে-মেয়েকে ভর্তি করাতে চান, সেক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড়ে মাত্র ৬ হাজার টাকায় ভর্তি করানো যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, বর্তমানে পড়াশোনা হয়ে গেছে শুধুমাত্র পাঠ্য নির্ভর। যে কারণে বাচ্চারা স্কুলে এসে পড়াশোনা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। এক্ষেত্রে নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসে দেখলাম তারা কিছুটা ব্যতিক্রম। এখানে পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও বেশ কিছু সহশিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে, বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

এর আগে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ঢালী বলেন, ঢাকা মহানগরীর সাম্প্রতিক সময়ের একটি ক্রমবর্ধমান আকর্ষণীয় আবাসিক এলাকা আফতাবনগর। ইতোমধ্যে এ এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন অনেকে এবং পাশেই রয়েছে বনশ্রীসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকা। শুধু আফতাবনগর এলাকায় কয়েক লাখ পরিবার বসবাস করছে। কিন্তু এই এলাকার শিশুদের এতদিন অন্য এলাকায় গিয়ে কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হতো। এখন নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমে অভিভাবকদের সেই কষ্ট লাগব হবে। 

আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে রয়েছে নিজস্ব ভবন, খেলার মাঠ ও সুইমিংপুলের ব্যবস্থা। অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম চলবে। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম রয়েছে। আমরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করছি। ক্লাসের শুরুতে নূরানী পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্লাস চলাকালীন প্রতিটি ক্লাসে দুইজন করে শিক্ষক থাকবেন, যাতে করে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষা নিতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীর কোনো প্রাইভেট বা টিউশনের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে সুইমিংপুল ও খেলার মাঠ থাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। 

টিআই/কেএ