ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষকের প্রাইভেটকারের নিচে পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের (ভিসি চত্বর) মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১০টায় তারা অবস্থান করছেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থীর জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কিন্তু তারা এ দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়তই উচ্চ স্বরে এবং উচ্চগতিতে যানবাহন চলছে। এতে একদিকে শব্দ দূষণ হচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। আজকের এই মৃত্যুর দায় ভিসি-প্রক্টরকেই নিতে হবে।

আরও পড়ুন : ধাক্কা দিয়ে এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় প্রাইভেটকার, নারীর মৃত্যু

আরেক শিক্ষার্থী সুহাইল আহমেদ শুভ বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে যে সার্বিকভাবে নিরাপত্তার অভাব আজকের ঘটনায় সেটি প্রমাণিত হলো। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু প্রশাসনকে এ নিয়ে কোনো জোরালো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন : নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবিতে বিক্ষোভ

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমী বলেন, একজন নারীকে প্রায় দেড় কিলোমিটার গাড়ির নিচে করে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়তই দেশে এ রকম মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দল-মত নির্বিশেষে নিরাপদ সড়ক আমাদের সকলের দাবি। প্রত্যেকটা মানুষের জীবন মূল্যবান। প্রত্যেকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহবাগ থানার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক নারী নিহত হন। 

ওই প্রাইভেটকারের চালক ছিলেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক আজহার জাফর শাহ। এ সময় উপস্থিত জনতা তাকে পিটুনি দেন৷ পরে তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়৷ 

তবে প্রাইভেটকারচালক শিক্ষক জাফর শাহ ঢাবি থেকে শাস্তিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।

এইচআর/এসকেডি