ছবি : অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান

একটি হট্টগোলের ঘটনার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে সাদা দলের সদস্যপদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ২৪ নভেম্বর অনুষদের সভায় দলের একজন শিক্ষকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জেরে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

তবে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের দাবি, অগণতান্ত্রিক উপায়ে ও ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাদা দলের সভায় হট্টগোলের বিষয়ে জানা যায়, গত ১২ মে জার্নাল কমিটির সভায় একজন নারী সদস্যের ওপর মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এ বি এম শহীদুল ইসলামের ‘অবিচারের’ প্রতিবাদ করেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে সাদা দল ব্যবসায় অনুষদ শাখার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

আরও জানা যায়, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুন সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি করে দলের অধিকাংশ সদস্যের অনুপস্থিতিতে এবং একজন সদস্যের নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে অধ্যাপক মিজানের সদস্যপদ ‘সাময়িক স্থগিত’ রাখা হয়। এরপর ১ অক্টোবর অধ্যাপক মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিতভাবে প্রত্যাহার করে নেন মার্কেটিং বিভাগের চেয়ার অধ্যাপক শহীদুল।

অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে ২৫ নভেম্বর ব্যবসায় অনুষদ শাখা সাদা দলের সভায় অধ্যাপক মিজানুর রহমান হাজির হলে দুই-তিনজন শিক্ষক অধ্যাপক তার উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেন। তবে উপস্থিত অন্য নয়জন শিক্ষক মিজানের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেননি।

অফিশিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোয় এসময় দুপক্ষের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেসময় সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হয়। উপস্থিত কেউই হট্টগোল ও বাদানুবাদের বেশি কিছু হয়নি বলে জানান।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কী অভিযোগ ছিল, কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্যও শোনা হয়নি। 

সাদা দলের আহ্বায়ক ব্যবসায় অনুষদ শাখা আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জাহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে সাদা দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে কী না জানতে চাইলে সেটির প্রয়োজন হয়নি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কোনো কিছুই জানি না। যদি বিষয়টি কেন্দ্রে আসে তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।

এইচআর/কেএ