বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টিউশন থেকে ফেরার সময় সন্দেহবশতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন। তিনি ঢাবির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মো. রফিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কক্সাবাজারে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কাকরাইল থেকে তিনি আটক হন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সেলিম উল্লাহ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান।

সেলিম উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রফিক গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টিউশন থেকে ফিরছিল। এসময় কাকরাইল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করে পল্টন থানা পুলিশ। পরে তাকে শাহজাহানপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে আমার এলাকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই। আমি শতভাগ নিশ্চিত সে কোনো রাজনীতি সঙ্গে জড়িত নেই।

মিজানুর রহমান বলেন, টিউশন থেকে ফেরার পথে রফিককে আটক করে পুলিশ। আমি যতটুকু জানি সে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে থাকে।

ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপত্তা মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক আরাফাত চৌধুরী বলেন, রফিকের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমি মতিঝিল বিভাগের ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে তিনি দ্রুতই রফিককে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বিল্লাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বিষয়টা মাত্রই জেনেছি। আমি দ্রুত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আমরা নিরাপরাধ শিক্ষার্থীর পাশে থাকব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেব এবং তাকে কেন আটক করা হয়েছে জানার চেষ্টা করব। পাশাপাশি নিরাপত্তা সহকারে তাকে ক্যাম্পাসে পোঁছাতে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আমরা সহযোগিতা আশা করব।

এইচআর/কেএ