বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পাসে সতর্ক রয়েছে ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে অন্তত ১০ জনকে পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পেটানোর পর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে (নীলক্ষেত এলাকা) এ ঘটনা ঘটে।

মারধর ও পুলিশে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। তবে ঢাবি ছাত্রদল বলছে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের কোনো নির্দেশনা ছিল না। সুতরাং তারা ছাত্রদলের কর্মী কি না আমরা জানি না।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে গত দুদিন ধরেই ঢাবি ক্যাম্পাসে সতর্ক ছাত্রলীগ। আজ (শনিবার) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্র তোরণ ও নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হল ও স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে কাউকে দেখে সন্দেহ হলে তারা তল্লাশি করেছেন। অনেককে মারধর করেছেন।    

আরও পড়ুন : পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ : ঢাবি সাদা দলের মৌন প্রতিবাদ

ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে অন্তত ১০ জনকে পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

১০ জনকে পেটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির সমাবশকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে এলে আমরা তাদের প্রতিহত করি। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ১০-১৫ জনকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিই এবং যাদের পুলিশে দেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের ধাওয়া দিই। কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম যাতে না চলে সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।

একই হলের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখে আমরা তাদের ছাত্রদলের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাই। কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করে। ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে ছাত্রলীগ বদ্ধ পরিকর।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অপচেষ্টার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে আমরা প্রায় ২০ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। 

আরও পড়ুন : বিএনপির ৭ এমপির সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে (গোলাপবাগ মাঠে) আমরা অবস্থান করছি। কোনো নেতাকর্মীকে আজ ক্যাম্পাসে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ঢাবি ছাত্রদলের কেউ সেখানে যাওয়ার কথা নয়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশে তাদের কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। অপরাধের কোনো তথ্য না পেলে ছেড়ে দেব।

এইচআর/এনএফ