পরিসংখ্যান আশা দেখাচ্ছে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের
কাতার বিশ্বকাপের আগে চার বার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারের মুখ দেখতে হয়নি তাদের। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর ১৯৩০ সালে সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলে তারা।
এই পরিসংখ্যানই স্বপ্ন দেখাচ্ছে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। তারা বলছেন, আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে কখনো হারেনি, এবারও মেসির নেতৃত্বে যে দুরন্ত গতিতে দলটি ছুটছে তাতে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবার সুযোগ নেই।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা আর্জেন্টিনা সমর্থকরা এভাবেই তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বড় পর্দায় খেলা দেখতে ক্যাম্পাসের টিএসসি, ডাস চত্বর এবং মুহসীন হলের মাঠে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বড় পর্দায় খেলা দেখানো নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। এছাড়া ঢাবির হলগুলোতেও আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
খেলা দেখতে ঢাবি ক্যাম্পাসে আসা আর্জেন্টিনা সমর্থক রবিউল ইসলাম বলেন, আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালে হারার রেকর্ড নেই। প্রতিবারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল জিতে মেসিরা সেই পরিসংখ্যানটাকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আর তাতে মেসির অবদান থাকবে সবচেয়ে বেশি।
বিজ্ঞাপন
আরেক সমর্থক বলেন, ক্রোয়েশিয়া কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও আর্জেন্টিনার সোনালি পরিসংখ্যানের পাশাপাশি মেসি ও তার দল আছে দারুণ ছন্দে। আমি মনে করি, এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জিতবে। মেসি ও তার দলের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে।
এদিকে ব্রাজিল আগেই বিদায় নেওয়ায় সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার জয় চান ব্রাজিল সমর্থকদের অনেকেই। বিশেষ করে মেসির শেষ বিশ্বকাপ হওয়ায় তার হাতেই বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতে চান তারা।
ব্রাজিল সমর্থক রবিন মাহমুদ বলেন, আমি ব্রাজিল সমর্থক হলেও মেসি আমার ফেভারিট ফুটবলার। আপনি যে দলের সমর্থক হোন না কেন, মানতেই হবে মেসি বর্তমানে বিশ্বসেরা ফুটবলার। যার একমাত্র আক্ষেপ বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচু করে ধরতে না পারা। আমি খুব করে চাই এই ফুটবল যাদুকরের হাতেই উঠুক বিশ্বকাপ।
এইচআর/এসএসএইচ/