ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি পদে নির্বাচিত মো. নকীব হাসানকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্লাবটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ঢাবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রতিবছর সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হলেও এবার দুইজন সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় মতানৈক্যে পৌঁছাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে নির্বাচন করে সিলেকশন কমিটি। গত ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৬টি ভোটের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮টি ভোট পান নকীব। তারপরও তাকে সভাপতি ঘোষণা না করে বরং বিভিন্ন হুমকি দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদ নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ফটোগ্রাফি সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক হাসান আল শাফি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্রও দেন ভুক্তভোগী নকীব হাসান।

এদিকে তাকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামরুলের বিরুদ্ধে। এর আগেও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আটক হয়েছিলেন। 

প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষায় নকল করার কারণে তিনি বহিষ্কারও হয়েছিলেন।

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের মাধ্যমে আমি নির্বাচিত হই। সিলেকশন কমিটি আমাকে জানায় আমি ২৬টি ভোটের মধ্যে ১৮টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছি। এর আগে ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ায় অজ্ঞাত কয়েকজন আমাকে হুমকি দেয়। এ নির্বাচনে জয় লাভ করার পরেও বিশেষ ব্যক্তির হস্তক্ষেপে আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নকিব হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া পরও সিলেকশন কমিটি আমাকে সভাপতি ঘোষণা না করে একটা ড্রাফট কমিটি করে যেখানে কামরুলকে সভাপতি করা হয়। আমি সে কমিটি মানিনি, পরে আমি উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এখন কামরুলকে সভাপতি মেনে নিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, হেনস্তা করা হচ্ছে, বিভিন্ন ব্লেম দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার সঙ্গে কামরুল জড়িত। আমার হলে থাকাটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কামরুল হাসান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বী তাই আমার নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের কোনো নির্বাচন হয়নি, সবার মতামতের ভিত্তিতে সিলেকশন কমিটি একটা কমিটি গঠন করেছিল। সেটা মেনেও নিয়েছিল নকীব।

ফটোগ্রাফি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেকশন কমিটির সদস্য মাশুকুল ইসলাম ঝন্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, নকীবের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ জন সদস্য সমর্থন দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী কমিটি দিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু তারা বন্ধুরা আলোচনা করে কমিটি ঠিক করতে চেয়েছেন। পরে সে অনুযায়ী একটা ড্রাফট হলো। কিন্তু পরে নকীব অভিযোগ করেন তিনি এটা মানবেন না। এখন তারা বসে আলোচনা করলে বিষয়টা সহজে সমাধান হয়ে যাবে।

তবে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক হাসান আল শাফির মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এইচআর/এসকেডি