চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৪ জন প্রার্থী। ১১টি পদের বিপরীতে ফরম জমা দেওয়া সব প্রার্থীই আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের। এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ শেষ হয়। এর মধ্যে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১ পদে মোট ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে তথ্য অসম্পূর্ণ থাকার কারণে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ২৪ জন প্রার্থী থেকে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে যেকেউ চাইলে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবে। 

হলুদ দল থেকে যোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। তিনি বলেন, যদি প্রশাসনের বলয়ের বাইরে থাকে, তাহলে শিক্ষক সমিতি তাদের কাজগুলো সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে করতে পারে। কিন্তু শিক্ষক সমিতিতে যদি প্রশাসনের ছায়া থাকে, তাহলে তা আর সম্ভব হয় না।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় আছে। এরপর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। 

এদিকে গতবারের মতো এবারের নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। 

এ বিষয়ে জামায়াত-বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। যেমন গত পরশুদিন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের একজন যোগ্য প্রার্থী ভাইভা দিতে আসে। তাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। 

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, এখানে যত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তার অধিকাংশই রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ হয়েছে। তারা মেধা মননকে প্রাধান্য না দিয়ে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছে, তাই আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। এটা আমাদের একপ্রকার প্রতিবাদ বলা যায়। 

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০২৩ এর কার্যনির্বাহী পরিষদের জন্য একজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম-সম্পাদক, এবং ছয় জন সদস্য পদের নির্বাচন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

রুমান/এমএএস