নতুন হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে মধ্যরাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন নারী শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।

এছাড়া নারী শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—

১. নতুন হলের নাম ফজিলাতুন্নেছা হতে হবে।

২. এখনি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কক্ষ বরাদ্দ দিতে হবে।

৩. সবার আগে ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীদের নতুন হলে তুলতে হবে।

৪. হলে রুম বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো পলিটিকাল ব্লক করা যাবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থী সাবিহা ইসলাম বলেন, আমাদের বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও নতুন হলে উঠানো হচ্ছে না। আমাদের তাড়াহুড়ো করে নোটিস দেওয়া হয়েছিল যে ২৮ তারিখে হল পরিবর্তন করানো হবে। এরপর আবার সেই তারিখ পরিবর্তন করা হলো এবং আমরা শুনেছি আমাদের আগে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীদের নতুন হলে ওঠানো হবে।

তিনি বলেন, দাবি হলো নতুন হলের পাঁচতলা পর্যন্ত আমাদের হলের শিক্ষার্থীদের নিতে হবে। সবার আগে আমাদের নতুন হলে ওঠাতে হবে। যেহেতু আমাদের হলের সব শিক্ষার্থী নতুন হলে যাবে, সেহেতু হলের নাম ফজিলাতুন্নেছা রাখতে হবে।

এসব ব্যাপারে ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আগামীকাল হল শিফট করার কথা। নতুন হলের প্রাধ্যক্ষ কে কোন রুমে যাবে সেটা লটারির মাধ্যমে ঠিক করবে। যাদের নাম তালিকায় এসেছে তাদের সবাইকে স্থানান্তর করা হবে, এই আন্দোলন অমূলক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, যেহেতু মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসার সামনে এসেছে, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি সমাধান বের হয়ে আসবে।

মো. আলকামা/কেএ