করোনাকালীন সময়ে যখন প্রথম প্যারেন্টহুডে প্রবেশ করলেন তখন পুরোটা সময় সন্তানকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন ইফফাত আরা ইলিয়াস। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ নিয়ে তখনই পড়ার আগ্রহ জাগে তার। মূলত নিজের সন্তানের শৈশবকালীন স্বাভাবিক বিকাশ যেন সুন্দরভাবে হয় তাই লন্ডনে কর্মরত একজন শিশুশিক্ষা বিশেষজ্ঞের অধীনে জুমের মাধ্যমে দেড় বছর কয়েকটি ট্রেনিং ও সেশন সম্পন্ন করেন।

সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ‘কানা বগির ছা’ নামে একটি বই রচনা করেছেন ইফফাত আরা ইলিয়াস। ইফফাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

‘কানা বগির ছা’ বইটি মূলত নন-ফিকশন ক্যাটাগরির। প্রতিটি শিশুর জন্মের সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও নতুন রূপে জন্ম হয়। সেই শিশুর প্রথম পাঁচটি বছরের সার্বিক বিকাশে এই নতুন বাবা-মা কী ধরনের ভূমিকা রাখলে শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে সেই বিষয়গুলোকেই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরা হয়েছে ‘কানা বগির ছা’ বইতে।

ইফফাত আরা ইলিয়াস বলেন, লেখালেখির ব্যাপারে আগে থেকেই আগ্রহ ছিল। কিন্তু মনের মতো বিষয় পাচ্ছিলাম না। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং আগামী প্রজন্ম যেন একটি সুন্দর শৈশবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে তাই ট্রেনিং ও সেশনে যা শিখেছি তার সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা মিলিয়ে মনে হলো সবার কাছে এই তথ্যগুলো পৌঁছে দিতে পারলে সব বাবা-মা উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, ভুলের ঊর্ধ্বে কোনো মানুষ নয়। প্রথম বই হিসেবে ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আলোচনা-সমালোচনা করবেন যেন এই বিষয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারি।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় অমর একুশে বইমেলায়  ‘কানা বগির ছা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন হবে। বইটি প্রকাশ করেছে বীকন পাবলিকেশন। প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবে ছিলেন চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল হাসান। ‘কানা বগির ছা’ বইটি বইমেলার ৯ম দিন হতে পাওয়া যাবে। এছাড়া রকমারিডটকমসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও পাওয়া যাবে।

রুমান/এমজেইউ