বাংলা একাডেমির আয়োজনে চলছে দেশের বৃহত্তম বইমেলা। প্রতিবারের মতো এবারও একাডেমি প্রাঙ্গণে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা। কিন্তু এ বছর নতুন কোনো বই প্রকাশ করেনি প্রকাশনা সংস্থাটি।

প্রকাশনা সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেলায় ২০২২ সালে একটি বইও প্রকাশ করতে পারেনি সংস্থাটি। ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে ৫টি বই প্রকাশ করেছিল। ২০১৯ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ৪টি বই। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় তিনটিতে। ১৯৫৭-২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১৮৪টি বই প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা।

নতুন বই না আসার কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসের কাজে সময়ক্ষেপণকে দায়ী করছেন প্রকাশনা সংস্থার পরিচালক। তবে উপাচার্য বলছেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশিত হয় না ঢাবি প্রকাশনা সংস্থায়।

এদিকে, বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থার স্টলের পাশেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারাও আনতে পারেনি কোনো নতুন বই।

২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৯টি বই প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য প্রকাশনা দপ্তর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, এ বছরের বইমেলায় আমাদের স্টলে নতুন চারটি বই তোলা যেত। এই বইগুলোর সবকিছু রেডি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস এগুলো করে দিচ্ছে না। এখানে বই প্রকাশে অনেক লম্বা প্রসেস মেইনটেইন করতে হয়। এজন্যই আসলে সময়মতো বই প্রকাশ করা হয়ে ওঠে না।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলছেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশিত হয় না। তবে প্রতিবছর এ সংস্থা থেকে বই প্রকাশিত হলে ভালো হতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা ভিন্নধর্মী একটি প্রকাশনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে লেখক সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গে বই প্রকাশ করা হয় না। কারণ রিভিউ পেতে হয়, সময় লাগে। স্বাভাবিকভাবে এখান থেকে পাঠ্যবই, রেফারেন্স বই এবং গবেষণাধর্মী বইগুলো প্রকাশিত হয়।

এইচআর/এমজে