রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে হামলা ও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফোকলোর বিভাগ।

রোববার সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে তারা এই মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রওশন জাহিদ বলেন, গতকালকের ঘটনার আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এমন একটা চক্র এর সাথে যুক্ত আছে যারা আমাদের অসাম্প্রদায়িকতাকে পণ্ড করতে চায়। আমরা তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি ।

মানববন্ধনে ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দেয়ালে পিট ঠেকেছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা চালায়! এর মতো নিকৃষ্ট কাজ হতে পারে না। তারা অবশ্যই কোনো ক্ষমতায় আছে। গতকাল আমাদের বিভাগে হয়েছে, এখন অন্য বিভাগেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। 
এই ঘটনার শাস্তির আওতায় আনলে তারা এরকম ঘটনায় জড়িত হতে সাহস পাবে না। 

ফোকলোর বিভাগের সভাপতি ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী গতকাল আমাদের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে ভাঙচুর করে। তারা শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ করেছে।
তাদের শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করব। বিশ্ববিদ্যালয় কারও বাবার সম্পদ নয়, যে যার মতো আচরণ করবে। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি তাদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

তিনি আরও বলেন, অচিরেই একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। এর সাথে শিক্ষক জড়িত থাকতে পারে। কোনো ছাত্র সংগঠনও জড়িত থাকতে পারে। আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই তদন্ত কমিটি হয় কিন্তু তার কোনো সুষ্ঠু রিপোর্ট পাওয়া যায় না। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনও হতে পারে না। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ড. মোস্তাফা তরিকুল আহসান, ড. মোবাররা সিদ্দিকা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. এস.এম একরাম উল্লাহ। মানববন্ধনে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় দু-শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।


জুবায়ের জিসান/এনএফ