মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেডিও বড় অবদান রেখেছে উল্লেখ করে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মুজিব খান বলেছেন, এখনও সমাজে রেডিওর প্রভাব রয়েছে। 

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব রেডিও দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের যোগযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগ তাদের অনুষদে এই মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।

অধ্যাপক মুজিব খান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রেডিওর মাধ্যমেই দেশের সর্বত্র বাতা পৌঁছে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক যুদ্ধেই রেডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখনও সমাজে রেডিওর প্রভাব রয়েছে।

বক্তারা বলেন, একটা সময় রেডিও ছিলো মানুষের বিনোদন ও সংবাদ জানার প্রধান মাধ্যম। যুগের পরিবর্তনে রেডিওর সেই আবেদন কমলেও প্রভাব এখনও হারিয়ে যায়নি।

বিভাগের প্রধান এম মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমাদুল্লাহ মিয়া, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফয়জুন নাহার, প্রভাষক ইসমাইল সিরাজি ও প্রভাষক মাহাদী হাসানসহ বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী উ মিমি মারমা। আলোচনায় অংশ নেন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী, রেডিও টুডে’র ডিজিটাল ডিপার্টমেন্টের সাবেক প্রধান মৃদুল পল ও সিটি এফএমের সাবেক রেডিও জকি রিশাদ হাসান।

মৃদুল পল বলেন, রেডিওতে মানুষ বক্তাকে দেখতে পায় না, তারপরও অনেকে ভক্ত হয়। এটা থেকেই বোঝা যায় রেডিওর আবেদন কমে যায়নি।

রিশাদ বলেন, এখনও রেডিও মানুষের অনভূতিতে নাড়া দেয়। রেডিওতে শুধু কণ্ঠ শুনে অগণিত মানুষ ভক্ত হয়। এখনও সমাজে অনেক অবদান রেখে চলছে রেডিও।

রেডিও নিয়ে বিভাগের শিক্ষার্থী মুন্না চন্দ্র দাস বলেন, বেতার রেডিও মাধ্যমে আমাদের বিভিন্নভাবে উজ্জীবিত করতো। রেডিও দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো, এই রেডিও কিভাবে আমাদের স্বাধীন বাংলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা তুলে ধরার জন্য। এমন প্রোগ্রামগুলো সবারই পালন করা উচিৎ এতে করে আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়।

আরেক শিক্ষার্থী তানজিন অন্তি বলেন, লোডশেডিংয়ের সময়কালে আমাদের আড্ডা ছিলো রেডিওকেন্দ্রিক। তখনকার সময় বিনোদন আর ভুত এফএম শুনতাম। বাসায় প্রবীণ সদস্যদের কাছে রেডিও নিয়ে শুনতাম অনেক কিছু। তখন টিভি বা এখনকার মত মোবাইল ছিল না; এক রেডিও ছিল ভরসা। আজকের প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেদিনের ঘটনাগুলো মনে পড়ে গেছে। রেডিও টিকে থাকুক, টিকে থাকুক যুদ্ধের পেছনে কাজ করা এই জিনিসটা।

এমজে