কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 'সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখি, পরিবেশ বাঁচাই’ এই স্লোগানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।

সম্প্রতি সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় শিক্ষা-সফরের অংশ হিসেবে ভ্রমণে এসে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট অংশে এই অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষী আরবি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন তারা।

সৈকতে দর্শনার্থীদের মধ্যে পরিবেশ দূষণের ক্ষতি ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে পথসভা করেন শিক্ষার্থীরা। সভা শেষে সৈকতে পড়ে থাকা ও সাগর থেকে ভেসে আসা পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতলসহ পরিবেশ দূষণকারী বিভিন্ন বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত বর্জ্য সংগ্রহ স্থানে রাখেন। এই কর্মসূচি পরিচালনায় তত্ত্বাবধান করেন বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন।

এছাড়া সফরে তারা বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদর থানাধীন বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও স্বাস্থ্যসম্মত বিস্কুট বিতরণ করেন। শিক্ষা উপকরণ বিতরণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক টিং ম্যা য়ী মারমাসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমরা শিক্ষা সফরকে শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যম মনে না করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার চিন্তা করি এবং আমরা ঢাকা থেকে শিক্ষা উপকরণ নিয়ে যাই। আমাদের শিক্ষা উপকরণসহ যাবতীয় কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে ট্যালেন্ট স্টেশনারি ও বিডি বুকস। এছাড়া শিক্ষকদের নির্দেশনায় আমরা সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করি।

এ বিষয়ে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন বলেন, পড়ে থাকা পলিথিনের ব্যাগ আর প্লাস্টিকের বোতল কুড়ানোর মধ্য দিয়েই সৈকতকে বাঁচানো সম্ভব না। সবার সচেতনতা জরুরি। আমরা সে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। এছাড়া বান্দরবানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি। আন্তরিকভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করায় আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই।

এইচআর/জেডএস