স্মার্ট বাংলাদেশের কাঠামোতে স্মার্ট নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি নতুন ধারণা। স্মার্ট বাংলাদেশ কনসেপ্টটি এখন বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে যাই বোঝানো হোক না কেন, স্মার্ট নারীদের সেখানে ‘অনিবার্য পূর্বশর্ত’ হিসেবে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এতদিন বলেছি, মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এখন সেই একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের যে ফ্রেমওয়ার্ক, সেটার ভেতরেও স্মার্ট নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ এর উদ্যোগে ‘ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে, ইউনিয়নে মেম্বার পদে যে নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসছেন, সেটা একটা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় সরকারে প্রায় ১২ হাজার প্রতিনিধিত্ব আমরা দেখতে পাই। উপজেলা পর্যায়ে একজন ভাইস চেয়ারম্যান অবশ্যই মহিলা হন। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় আইনকে পরিবর্তন করে তার মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি করে নারীদের এগিয়ে আনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রাম, অনেক দীর্ঘদিনের পথ পাড়ি দিয়ে আজ এ পর্যন্ত আসা। সে পথটিও যে খুব মসৃণ তা নয়। অত্যন্ত কঠিন ও কণ্টকাকীর্ণ একটি পথ। প্রতি পদে পদে বিভিন্ন বাধা, বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতাকে উত্তরণ ঘটিয়েই আজকের নারী সমাজ এতদূর এগিয়ে আসতে পেরেছে। সমগ্র বিশ্বের ইতিহাস দেখলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি অনুষদের ডিন ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লিলি নিকোলস, হাই কমিশনার ফর কানাডা, বাংলাদেশ, মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এইচআর/এফকে