ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ।

সোমবার (২৭ মার্চ) ক‌বিতা প‌রিষ‌দের সভাপ‌তি ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক তা‌রিক সুজাতের সই করা এক বিবৃতিতে শোক জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সা‌হিত্য ও সংস্কৃ‌তি ক্ষে‌ত্রে কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিংয়ের অনন্য অবদা‌নের বাংলা‌দেশ ভার‌তের মানুষ তাকে শ্রদ্ধার স‌ঙ্গে স্মরণ কর‌বে। তি‌নি ছি‌লেন জাতীয় ক‌বিতা প‌রিষ‌দের একজন এক‌নিষ্ঠ সুহৃদ। ক‌বি চন্দ্রকান্ত মুড়া‌সিং উত্তর-পূর্ব জাতীয় ক‌বিতা প‌রিষদ গঠন ক‌রে বাংলা‌দেশ ও উত্তর-পূর্ব ভার‌তের ক‌বি-সা‌হি‌ত্যিক-সংস্কৃ‌তিকর্মী‌দের মধ্যে এক নি‌বিড় ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গ‌ড়ে তু‌লে‌ছি‌লেন। তার প্রয়াণ আমা‌দে‌র জ‌ন্যে অপূরণীয় শূন্যস্থান তৈ‌রি কর‌ল।

সোমবার সকালে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে মারা যান উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের রেখে গেছেন। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত  তিনি ছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মৌখিক সাহিত্য কেন্দ্র’র অধিকর্তা।

তিনি রাজ্যের আদিবাসীদের ভাষা ককবরক-এ ‌লি‌খে‌ছেন এবং কবিতার পাঁচটি বই প্রকাশ করেছেন। ‘সমসাময়িক ত্রিপুরায় জনজীবনের যন্ত্রণা’ তার কবিতার মূল প্রতিপাদ্য। কবিতায় ত্রিপুরার পাহাড়, খরস্রোতা নদী ও পাখির গানের সুরকে প্রতিস্থাপন করেছেন।

ককবরক সাহিত্যের বিকাশে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি ও নয়াদিল্লি থেকে ভাষা সম্মান পুরস্কার অর্জন ক‌রেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি ককবরক ভাষায় স্বরলিপি তৈরি করেন কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং। ১৯৯৭ সালে ককবরক সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

এইচআর/কেএ