সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তি, নওগাঁতে র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর বিচার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান বলেন, দেশের জনগণ তার ক্ষুধার কথাও প্রকাশ্যে বলতে পারছে না। চরম নিপীড়নের মাধ্যমে জনগণের প্রতিবাদের ভাষা দমন করা হচ্ছে। সরকার জনগণের মাছ-মাংস-চাইলের স্বাধীনতা দিতে চায় না। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস ও সম্পাদক মতিউর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা যার বাস্তব প্রমাণ। বলা হচ্ছে, প্রথম আলোর রিপোর্ট দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। কিন্তু সারাদেশে যে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে, যে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ বিরাজ করছে, র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে- এসব ঘটনা একটি সভ্য রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি হতে পারে না।

তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে তার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার যন্ত্রে পরিণত করেছে। 

সমাবেশে বক্তরা অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি, জেসমিন হত্যার বিচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সারাদেশের মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান। পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা তানজিম হায়দার চঞ্চল।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দীলিপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা। 

এইচআর/কেএ